
বাগমারায় একই পরিবারে ৬ প্রতিবন্ধী, পাশে দাঁড়ানোর আহবান অধ্যাপক কামাল হোসেনের
মাহাবুর রহমান মনি, বাগমারা থেকে:
রাজশাহীর বাগমারার একটি পরিবারের ৮ সদস্যের মধ্যে ৬ জনই প্রতিবন্ধী। শুক্রবার ঐ প্রতিবন্ধী পরিবার নিয়ে অনলাইনে একটি নিউজ প্রকাশিত হলে বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হয় বাগমারা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মোঃ কামাল হোসেনের। নিউজটি দেখে অবগত হওয়ার পর অধ্যাপক কামাল হোসেন অত্যন্ত ব্যথিত মনে ছুটে যান অসহায় ঐ পরিবারের কাছে।
তাঁর সঙ্গে দলীয় কয়েকজন নেতা-কর্মীও ছিলেন। এসময় তিনি স্বচক্ষে পরিবারটির অসহায়ত্ব দেখেন এবং পরিবারের বাকশক্তি সম্পন্ন সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। কীভাবে তাঁরা সুস্থ -স্বাভাবিক জীবন থেকে প্রতিবন্ধী হলেন সে গল্প শোনেন। এক পর্যায়ে বিএনপির ওই নেতা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। পরে তিনি গোটা পরিবারের জন্য উপহার হিসেবে ঈদের বাজার ও নগদ অর্থ ( ১০,০০০) টাকা তুলে দেন পরিবারটির কাছে।
অধ্যাপক কামাল হোসেন জানান, সকালেই সংবাদটি তাঁর নজরে আসে। এরকম অসহায় পরিবারের কাহিনি পড়ে আমি অত্যন্ত ব্যতিত হই । এরপর নিজের দায়িত্ববোধ ও বিবেকতাড়িত হয়ে আমি প্রতিবন্ধী পরিবারটির কাছে ছুটে যায়। আমি আমার সাধ্যমত সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আমি আহবান জানাবো তাঁরা যেন এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ায় এবং সাধ্যমত সহযোগিতা প্রদান করেন।
আরিকুল্লাহ–রেজিয়া দম্পতির বাড়ি রাজশাহীর বাগমারার গণিপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রামে। তাঁরাসহ পরিবারের মোট সদস্য আটজন। তাঁদের মধ্যে ছয়জনই শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী।যযদিও কেউই প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মগ্রহণ করেননি। ১১-১২ বছর বয়সে এসে অসুস্থতা থেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাঁরা। এখন বিনা চিকিৎসায় আর খাবারের সংকটে কোনোমতে দিনযাপন করছেন। তাঁদের দেখভাল করা স্বাভাবিক থাকা ছেলে রেজাউল হক এখন পর্যন্ত বিয়ে করেননি। বিএনপি নেতার উপহার পেয়ে খুশি হয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় আরিকুল্লাহ বলেন, এটাই প্রথম কোন ব্যক্তির সহযোগিতা। আপাতত ঈদের দিনে ভালো খাবার খেতে পারবো।